চীনের উহানে প্রথম করাে’নাভাই’রাসের সংক্রমণ শুরুর পর এই নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা (সাংবাদিক) ঝং ঝানের ৩৭ (কারাদণ্ড) দেওয়া হয়েছে। আজ সােমবার তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে গত মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তখন থেকে কারাগারে আছেন তিনি। খবর এএফপি ও সিএনএনের।
ঝ্যাংয়ের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার সাংহাই পুড়ং নিউ ডিস্ট্রিক্ট পিপলস কোর্টে এদিন সকালে শুরু হয়। এ সময় আদালতের বাইরে তাঁর ১২ জনের মতাে সমর্থক সমবেত হন। কিন্তু বিচারকাজ দেখতে আসা সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের আদালতে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
কো’ভিড-১৯ এই উৎস নিয়ে তদন্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডব্লিউএইচও একটি প্রতিনিধি দল উহানে যাওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ঝ্যাংকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হলাে। তাঁর আইনজীবী জ্যাং কে’কে এই সাজার বিষয় নিশ্চিত করেছে।সরকারি কৌসুলিরা ঝ্যাংকে চার থেকে পাঁচ বছর এর কারাদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করে ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত!
গত ১৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঝ্যাংকে গ্রেপ্তার দেখানাে হয়। এর প্রায় তিন মাস পর গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজ আইনজীবী’কে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযােগ দেওয়া হয়। নিজের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে যান ঝ্যাং। পরে জীবনা শঙ্কা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ নাকেদিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে তাঁকে জোর করে খাবার গ্রহণ করায় পাইপ দিয়ে।
রাজধানী উহানের। ওই সময় সেখান থেকে করােনা নিয়ে প্রতিবেদন করায় (সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনা এই প্রথম নয়। ঝ্যাং একজন সাবেক আইনজীবী। ঝগড়া বাধানাে ও সমস্যা উসকানি দেওয়ায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছেন। চীনের সরকার বিরােধীদের প্রায়ই এই অভিযােগে অভিযুক্ত করা হয় তাকে। ঝ্যাং গত ফেব্রুয়ারি’তে উহানে যান। সেখান থেকে কত গুলাে প্রতিবেদন করে। এইসব প্রতিবেদন সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে আলােচিত হয় উহানে। এরপরই সরকারের রােষানলে পড়েন ঝাং ।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা চীনা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেটওয়ার্ক অব চাইনিজ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস (সিএইচ আরডি) জানায়, আটক ঝাং নিরপেক্ষ সাংবাদিক ছিলেন। গত ১৪ মে উহান থেকে তিনি হারিয়ে যান বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এক দিন পর জানা যায়, ৪০০ মাইলের বেশি দূরের শহর সাংহাই থেকে তাঁকে আটক করেছেন পুলিশ।
এর পর গত ১৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঝাং কে গ্রেপ্তার দেখানাে হয়। এর প্রায় তিন মাস পর গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজ আইন জীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযােগ দেওয়া হয়। নিজের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে যান ঝ্যাং। পরে জীবনা শঙ্কা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ নাকে পাইপ ঢুকিয়ে তাঁকে জোর করে খাবার গ্রহণ করায়।
১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর আইনজীবী মুঠোফোনে একটি কল পান। তাঁকে জানানাে হয়, ঝ্যাংকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর ঝাংয়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযােগ আনে পুলিশ। ১৬ নভেম্বর প্রকাশিত অভিযােগপত্রে বলা হয়, ঝাং লেখনী, ভিডিও ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে উইচ্যাট, টুইটার ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। এ ছাড়া বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে উহানের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বাজে ভাবে তথ্য ছড়ানাের অভিযােগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
আপনার মতামত জানান